ইসলাম ও দেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে -মাওলানা মাহফুজুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, ছাত্র সমাজের অতীতের ইতিহাস গৌরবময়, বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। অথচ ছাত্র রাজনীতির নামে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে হল দখল। এছাড়া টেন্ডারবাজি, জুয়া, মারামারি, অস্ত্রের মহড়াসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ইসলামী ছাত্র মজলিসের কর্মীদের দায়িত্ব শিক্ষার পরিবেশ অক্ষন্ন রাখতে রাসূল সা. এর আদর্শ ছাত্রদের সামনে তুলে ধরা এবং সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইসলাম ও দেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজকে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে হবে। প্রকৃত কল্যাণ ও শান্তি পেতে হলে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।
গতকাল বিকেলে ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে সংগঠনের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইফা ডিজি শামীম আফজাল মসজিদের খুতবা নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছেন। খন্ডিত জ্ঞান দিয়ে কুরআন হাদিসের অপব্যখ্যা করে মুসলমানদের বিভ্রান্ত বরদাস্ত করা যায় না। কুরআন হাদিস সম্পর্কে কিছু বলতে হলে জেনে বুঝে বলাজরুরী। সরকার অথবা ইফার ডিজি এ অবস্থান থেকে সরে না আসলে ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতা শামীম আফজালের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। তিনি ইফার মত গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে শামীম আফজালকে অপসারণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মহানগর সভাপতি আশরাফ মাহমুদ নাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতহার বিন মোশাররফের পরিচালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মাওলানা জি এম মেহেরুল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতী নূর মোহাম্মদ আজিজী, সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ, সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুনিরুজ্জামান,কেন্দ্রীয় প্রচার ও অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সানী,মাওলানা কামালুদ্দীন ফারুকী সাবেক মহানগর সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ, মহানগর বায়তুলমাল সম্পাদক মুসলিম মাহমুদ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, যাত্রাবাড়ি শাখার সভাপতি মুহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ আতাউল্লাহ। সম্মেলন শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে ২৫ জনকে এবং হামদ-নাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৬ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।