নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ১৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত, সেনা নিয়োগ ও প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব ইসির এবং ধর্ম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল মতবিনিময়ে অংশ গ্রহণ করেন। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৫ দফা লিখিত প্রস্তাব পেশ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ নেতৃবৃন্দের দ্রুত মুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা কামনা করা হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ, ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজিজী। মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। পেশকৃত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-১. নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমিশনকে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ২. নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার দিন থেকে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা ইসির হাতে রাখা এবং নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পর পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা । ৩. নির্বাচনে যেভাবে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের বিপথগামী ও চরিত্র নষ্ট করা হয়ে থাকে তাতে কোনো সৎ ও যোগ্য লোকের নির্বাচন করা খুবই কঠিন। আর এ অপতৎপরতা বন্ধ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব । অতীতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা অর্জিত হয়নি। নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব চলছেই। এব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব হল, নির্বাচন কমিশনের সরাসরি নিয়ন্ত্রনে সকল প্রার্থীর পক্ষ থেকে সার্বিক প্রচার-প্রচারনার ব্যবস্থা করা। একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর বক্তৃতার ব্যবস্থা করা। জামানতের সাথে এসব খরচের টাকা প্রার্থী/দল থেকে নেওয়া যেতে পারে। ৪. নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা। ৫. আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ৬. ধর্ম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেয়া। ৭. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্ত আরোপ না করা । ৮. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া। ৯. নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ১০. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া। নতুন কোনো রাজনৈতিক মামলা না দেওয়া। কোনো প্রার্থী ও তার কর্মীদের অযথা হয়রানি না করা। ১১. আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করা। ১২. অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা। ১৩. নিরপেক্ষভাবে ভোটের সংবাদ প্রচারে/সরাসরি সম্প্রচারে মিডিয়ার উপর কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি না করা। ১৪. প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামরার আওতায় আনা (সিল মারার স্থান ব্যতিত)। ১৫. প্রবাসী ভোটারদের ভোট গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য